প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার বিকেল ৪টায় সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলবেন।

এই ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে সিলেট বিভাগের তিন জেলার চা বাগানগুলোতে ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে সিলেটের জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান জানিয়েছেন লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠকে এজন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে নগরী সংলগ্ন লাক্কাতুরা গলফ ক্লাব মাঠে বিভিন্ন চা বাগান থেকে হাজারো শ্রমিক যোগ দেবেন। মহানগর পুলিশের পাশাপাশি চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর স্বেচ্ছাসেবকরাও সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে।

অপরদিকে এই মতবিনিময়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগান থেকে অংশ নেবেন শ্রমিকরা। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, পাত্রখলা চা বাগানে সবুজ চত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পাত্রখলা ছাড়াও জেলার সাতটি উপজেলায় তিনটি করে ২১টি চা বাগানের কাছে বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্স সম্প্রচার করা হবে। এতে চা শ্রমিক ইউনিয়ন, ভ্যালি ও পঞ্চায়েত কমিটির নেতাসহ হাজারখানেক শ্রমিকের সমাবেশ ঘটবে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সাথে কথা বলবেন শুনে উচ্ছ্বসিত চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রী তাদের গুরুত্ব দেওয়ায় তারা খুব খুশি। চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই চা শ্রমিকরা নতুন মজুরিতে কাজে গিয়েছে। শ্রমিকরা অনেক খুশি, তারা কথা বলার জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

দীর্ঘ ২০ দিন ধর্মঘট পালনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বৃদ্ধি করেন। এতে চা শিল্পের অচলাবস্থা কাটে। এরপর ধর্মঘট প্রত্যাহারের পাশাপাশি সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন চলাকালেও শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলার দাবি জানিয়েছিলো।

এর অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আজ চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। এরআগে গত ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ করার কথা জানান। এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শ্রমিকরা পরদিন কাজে যোগ দেন। এতে চা শিল্পে ১৯ দিনের অচলাবস্থার অবসান হয়। এতদিন চা শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি পেতেন।